0

বুদ্ধিজীবির বেশ্যাবৃত্তি !


সায়েম সাহেব বিজনেস এর কাজ শেষে ভাবলেন লন্ডনের বুদ্ধিজীবি সম্প্রদায় আর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলে দেখবেন কি অবস্থা। উনি অক্সফোর্ড এরিয়ার দিকে গেলেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এক প্রফেসরের সাথে কথা বলতে চাইলেন। কিন্তু ভদ্রলোক কথা বলতে পারলেন না। দেখা গেল উনার জ্বিব্বা নেই। এক ছাত্র বলল যে আগের প্রধান মন্ত্রীর পা চাটতে চাটতে নাকি তিনি জ্বিব্বাই খুইয়ে ফেলেছেন।


এরপর সায়েম সাহেব লন্ডনের এক নামকরা সাপ্তাহিক পত্রিকার অফিসের ঠিকানা খুজতে বেরোলেন। দেখলেন লন্ডনে কোন সাপ্তাহিক পত্রিকার অফিস নাই। উনি অবাক হলেন। পরে অনেক কে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলেন যে, সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদকেরা নাকি রাজনৈতিক উপদেষ্টা হবার জন্য হামলে পড়ছেন। অনেকে নাকি নেতা নেত্রীদের কাছের মানুষ হবার জন্য হেন কাজ নেই করছেন না।




এখন নিচে একটি নিউজ পড়ুন যা ০৩.০৩.২০১০ তারিখে দৈনিক কালের কন্ঠে ছাপা হয়েছে।


ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী গণতন্ত্রবিরোধী ভূমিকাপ্রধানমন্ত্রীর কাছে ভুল স্বীকার, দুঃখ প্রকাশ প্রথম আলো সম্পাদকেরঅবৈধ ক্ষমতা দখল বন্ধে সজাগ থাকুন : হাসিনা
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি-পরবর্তী সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য ভুল স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সংবাদপত্র মালিক সমিতির (নোয়াব) নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রথম আলো সম্পাদক বলেন, 'ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী আমাদের কিছু কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, এ জন্য আমরা দুঃখিত। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এটা করা ছাড়া তখন আমাদের উপায় ছিল না। তবে ওই ভূমিকা ভুল ছিল।' একই সঙ্গে তিনি অবশ্য বলেছেন, 'আমরা সব সময় গণতন্ত্রের পূজারি। গণতন্ত্রের স্বার্থেই কাজ করে যাব।' অনুষ্ঠানে উপস্থিত একাধিক সূত্র এ খবর নিশ্চিত করেছে।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এক-এগারো পরবর্তী সময়ে প্রথম আলো এবং তাদের সহযোগী ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়ে কথিত 'মাইনাস টু ফর্মুলা' বাস্তবায়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। ওইসময় মতিউর রহমান প্রথম আলোর প্রথম পাতায় স্বনামে মন্তব্য প্রতিবেদন লেখেন 'দুই নেত্রীকে সরে দাঁড়াতে হবে' শিরোনামে। একই বিষয়ে টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিয়েও দুই নেত্রী এবং প্রচলিত রাজনীতির বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান তুলে ধরেন।প্রথম আলোর ওই ভূমিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেও কিছুটা ক্ষুব্ধ। গতকালের মতবিনিময় সভায়ও তিনি তা প্রকাশ করেন বলে জানিয়েছে উপস্থিত একাধিক সূত্র। সূত্রমতে, প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'অনেকেই মাইনাস টু, মাইনাস ওয়ান ফর্মুলার পক্ষে কাজ করেছেন, কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে কিছু করতে পারেননি।' এ সময় প্রধানমন্ত্রী মতিউর রহমানকে দেখিয়ে বলেন, 'উনারও একটা ভূমিকা ছিল।'সূত্র জানায়, এ প্রসঙ্গে সমকালের প্রকাশক এ কে আজাদ তাঁর বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, 'একজন আপনার আত্মীয় (প্রথম আলো সম্পাদক), আরেকজন আপনার সহপাঠী (ডেইলি স্টার সম্পাদক), আমরা চাই সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান হোক।'এরপর ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বক্তব্য দেন। সূত্রমতে, মাহফুজ আনাম গণতন্ত্রের পক্ষে তাঁদের অবস্থান তুলে ধরেন। তবে কোনো রকম দুঃখ প্রকাশ করেননি। তিনি বলেন, 'আমরা বর্তমানে সরকারের অনেক প্রমোশনাল রিপোর্টও করছি।' জানা যায়, এর পরই বক্তব্য দিতে গিয়ে সরাসরি দুঃখ প্রকাশ করেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, 'পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শুধু সাংবাদিক নয়, অনেকেই অনেক কিছু করেছেন। আপনার দলের লোকজনও করেছেন। সেই ভূমিকাগুলো ভুল ছিল।'ইত্তেফাক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মঞ্জু অনুষ্ঠানে বলেন, 'গণতন্ত্রের লেবাসে একটা শ্রেণী আসলে গণতন্ত্র চায় না। ওয়ান-ইলেভেনের সময়ও তাদের ভূমিকা স্পষ্ট ছিল। গণতন্ত্রের স্বার্থেই এদের ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।'এদিকে বাসস জানায়, মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যতে কেউ যাতে অসাংবিধানিক পথে ক্ষমতা দখল করতে না পারে, সে জন্য সবাইকে সজাগ ও সচেতন থাকার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা চাই জনগণের ভোটের মাধ্যমে সরকারের পরিবর্তন ঘটবে। জনগণ ভোট যাকে দেবে, তারাই সরকার গঠন করবে।'প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী বাতিল করে দেওয়া উচ্চ আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এর মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্রকে আরো সুসংহত করার পথ সুগম হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে গঠিত বিশেষ সংসদীয় কমিটির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক শাসনব্যবস্থা সুসংহত করতে এমনভাবে সংবিধান সংশোধন করা হবে যাতে কেউ আর অসাংবিধানিক পন্থায় ক্ষমতায় না আসতে পারে। একটি দেশের উন্নয়নের জন্য নিরবচ্ছিন্ন গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার অপরিহার্যতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্র ছাড়া কখনোই একটি দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।নোয়াব প্রতিনিধিরা বর্তমান সরকারের নেওয়া সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদবিরোধী পদক্ষেপের প্রশংসা করে জানান, তাঁরা এ ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবেন। বৈঠকে নোয়াব নেতারা বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন। শেখ হাসিনা সেগুলো সমাধানের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দাসহ বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে দেশকে স্বাভাবিক ও স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে নিয়ে আসা খুব কঠিন কাজ ছিল। এ অবস্থার মধ্যেও সরকার দেশের সার্বিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বেড়েছে। বিগত সরকারের আমলে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের যে পরিচিতি ছিল, এখন আর তা নেই। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগ বেড়েছে। ১৯৯৬ সালে এর আগেরবার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর পাঁচ বছরে এক বিলিয়ন আমেরিকান ডলার বিনিয়োগ হয়েছিল।ইনডিপেনডেন্ট সম্পাদক ও নোয়াব সভাপতি মাহবুবুল আলমের নেতৃত্বে নোয়াব প্রতিনিধিদলে সম্পাদকদের মধ্যে ছিলেন ইত্তেফাকের আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, প্রথম আলোর মতিউর রহমান, ডেইলি স্টারের মাহফুজ আনাম, মানবজমিনের মতিউর রহমান চৌধুরী, সমকালের এ কে আজাদ, সংবাদের আলতামাস কবির মিশু, নিউজ টুডের রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, পূর্বকোণের তসলিম উদ্দিন প্রমুখ।প্রধানমন্ত্রী বিশ্বে বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি গড়ে ওঠার কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ এখন সম্ভাবনার দেশ। বিশ্ব শান্তিরক্ষা বাহিনীতে বাংলাদেশের সৈনিকদের ভূমিকা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে। শান্তি মিশনে বাংলাদেশের সৈনিক সংখ্যা এখন সর্বোচ্চ।শেখ হাসিনা সব অন্যায়ের বিচারের ব্যাপারে তাঁর সরকারের অঙ্গীকারের কথা উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও হবে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর জেনারেল জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে দেশে অসাংবিধানিক শাসন চালু করেন। তিনি সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন, দেশের শিক্ষাব্যবস্থা যুগোপযোগী ও আধুনিক করার লক্ষ্যে শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। কৃষিতে দেওয়া ভর্তুকির অর্থ সরাসরি কৃষকদের হাতে তুলে দেওয়ার লক্ষ্যে ১০ টাকা দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করার সুযোগ করে দেওয়ায় তাদের মধ্যে ব্যাপক ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অচিরেই গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করা হবে। এটি নির্মাণ করা হলে ভারত, চীন, মিয়ানমার, নেপাল, ভুটানসহ বিভিন্ন দেশ ব্যবহার করতে পারবে।

0 মন্তব্য:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো। সেটা যতই তিক্ত হোক না কেনো। আপনার সদয়/অসদয় মতামতের জন্য ধন্যবাদ জানবেন।

এলো যখন সারাটি নাই গেল চলে জানাল তাই

free counters

তোমার বাস কোথা হে পাঠক?

Visitor Map