• ইকোনো ডি এক্স

    তিন টাকার ইকোনো, বাংলাদেশী এক ললনা এবং মুখোমুখি অতীত

    একটা কম্বিনেশন ছিল ; মাথায় চকচকে করে শরিষার তেল, হাত লম্বা শার্টের কলারের বোতাম লাগানো, বুক পকেটে ইকোনো ডি এক্স বলপেন, স্ট্রেট পেন্টস, পায়ে হাওয়াই চপ্পল। সাথে একটা ছাতা হলে আরও ভাল। ললনা বলল কলমটা এখনও পাওয়া যায় মাঝে মাঝে। তবে বেশীদিন পাওয়া যাবে না। সবাই এখন জেলপেন ব্যবহার করে। টিকে থাকতে হলে নাম ঠিক রেখে জেলপেন বাজারজাত করতে হবে। আমিও বলি,ইকোনো ডি এক্স যেভাবেই হোক টিকে থাকুক। অতীত প্রেমের তীক্ত স্মৃতির মত টিকে থাকুক আজীবন।

  • 25 বাস

    "তোমার গালে এঁকে দেব লিপস্টিকের ঠোঁটচিহ্ন"

    তারপর সে এই ভীরের মধ্যেও তার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে কি যেন বের করার চেষ্টা করল। দেখি টিস্যু পেপার। আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলে " আপনার মুখে আমার লিপস্টিকের দাগ লেগে আছে। নিন মুছে ফেলুন।" আমি আরও ১ ঘন্টা বাসে ছিলাম। সে হোয়াইটচ্যাপেল নেমে পড়ে। এর ভিতরে আর একবারও মেয়েটার দিকে তাকাই নি। আমার বন্ধু শুভ্র বলছিল আমি নাকি একটা ভোদাই। কেন মেয়েটাকে বলালাম না ''আপনি দাগ লাগিয়েছেন, আপনিই মুছে দিন।''

  • draw

    বগুড়া ক্যান্ট. পাবলিক স্কুল-২: প্রাকটিকালি দেখাতে হবে

    স্কুলে একদিন আমাদের Accounting এর সুজিত স্যার আসেন নি। আমরা তো ভীষণ খুশি। একটা ক্লাস অন্তত ফাকি দেয়া যাবে। কিন্তু দেখা গেল ৫ মিঃ পরেই আমাদের ক্লাস টিচার নুরুল ইসলাম প্রামানিক এসে হাজির। আমাদের ইংলিশ টিচার। উনি তো আর Accounting পড়াবেন না। স্যার এসে ছাত্র-ছাত্রীদের দুই ভাগ করে Word Building খেলা শুরু করলেন। ছেলেরা একদলে আর মেয়েরা একদলে। আমার ধারণা এই খেলাটা সবাই ছোটবেলায় খেলেছেন। এখন যদিও এত বড় হই নি যে আকাশ ছুতে পাড়ব। খেলার নিয়ম হচ্ছে, বোর্ডে Horizontal এবং Vertical দাগ টেনে ছোট ছোট ঘর করা হয়। ঘরে একটি মাত্র অক্ষর বসিয়ে শব্দ তৈরী করতে হবে। অক্ষরের সংখ্যা যত তত পয়েন্ট। এবং আরেকটা যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম সেটা হল যে শব্দটা তৈরী হল সেটার অর্থ অবশ্যই বলা লাগবে। না হলে দেখা যাবে উল্টাপাল্টা শব্দ লিখে পয়েন্ট নিয়ে নিচ্ছে।

  • বৃষ্টির ছায়া

    মহিউদ্দিন কাউসার বিষয়ক আমাদের প্রেমালোচনা।

    " প্রহর শেষে আলোয় রাঙ্গা সেদিন চৈত্র মাস।তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।" এ কবিতাটাই বলতে চাই। কিন্তু পারিনা। সকালের মুখে কাউসার ভাইর নাম শুনে মেজেজটা চরম খারাপ হয়ে গেল। আজ সারাদিন শুধু কাউসার ভাইর উপন্যাস আর কবিতার প্রসংশা চলবে। প্রমিকারা প্রেমিকদের কাছে অন্য ছেলের প্রসংশা করে তাদের জেলাস করার জন্য। আমি এখন জেলাস না। কারণ ছোটবেলা থেকেই এই লেখক এবং খুবই ভাল বড়ভাইটাকে খুব হিংসে করতাম। যখন পড়াশুনা না করে অন্য দিকে মনযোগ দিতাম তখন আম্মু/আব্বু যার উদাহরণ প্রথমেই সামনে নিয়ে আসতেন সেটা হচ্ছে এই কাউসার ভাই। তাই আজ সকালের মুখে উনার প্রসংশা খুব একটা আবেদন নিয়ে আসে না আমার কাছে। কিন্তু মেজেজ খুব খিচরে আছে; আজ আর প্রেম হবে না হবে গ্রন্থালোচনাঃ উপন্যাস "বৃষ্টির ছায়া"।

  • সূর্যাস্ত

    পেতেছি সমুদ্রে শয্যা !!

    বন্ধুরা সবাই মিলে কোথাও ঘুরতে যাব যাব করে পুরো হলিডেটা চলে গেল কিন্তু যাওয়া হয় না। জবে এর ছুটি হয় তো ওর হয় না। আচমকাই গত ৯ আগষ্ট সবার ছুটি পাওয়া গেল। আমারা সাত জন। "লাকি সেভেন"! ঠিক হল বর্নমাউথ। লন্ডনে ভিক্টরিয়া স্টেশন থেকে ন্যাশনাল এক্সপ্রেস বাসে গেলাম। আড়াই ঘন্টার জার্নি।..............................................................................বর্নমাউথ এ যেতে হলে ২ সপ্তাহ আগে টিকেট কাটা ভাল। তাহলে কম দামে কিনতে পারবেন। খাবার সঙ্গে নিয়ে গেলে ভাল হয়। কারন ওখানে দাম খুব বেশী। বিচে ড্রিঙ্কস করা নিষেধ। তাই আমরা কোকাকোলার বোতলে ভরে নিয়েছিলাম Jack Daniel। আপনারাও নিতে পারেন। বিচে ড্রিঙ্কস করার ফিলিংসই আলাদা।

0

শাহবাগ আন্দোলনঃ গানের আর্কাইভ


কিছুদিন আগে ''ক্ষ'' ব্যান্ডের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া শুনে কয়েকজন বুড়োভাম তাদেরকে দেশদ্রোহী হিসেবে ফতোয়া দিয়ে দিয়েছেন। এই ফতোয়াবাজদের কেউ এখন পর্যন্ত শাহবাগে গেছে আমার চোখে পরে নাই। কারো কাছে লিংক থাকলে মন্তব্যে দিয়ে যান। বাংলাদেশে এত এত শিল্পী থাকতে কলকাতার সুমন গান গেয়ে প্রথম আমাদের আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন।  যাইহোক এই পোষ্টের উদ্দেশ্য এইসব প্যচাল পারা না। চলমান শহবাগ আন্দোলনে চমৎকার কিছু গান ও লিরিক্স হৈছে। যেসব গান বা অডিও/ভিডিও পাব্লিকেশন আমার নজরে পরছে সেগুলার একটা আর্কাইভ এখানে রাখার চেষ্টা করছিঃ

0

টুকরোকথনঃ ০২

ক্রিসমাসের বন্ধটাকে কাজে লাগিয়ে পড়ে শেষ করলাম মৈত্রেয়ী দেবীর ''ন হন্যতে''। দুর্ভাগ্যবশত এই উপন্যাসটা আমার আগে পড়া হয়নি।
লেখিকা এক জায়গায় উল্লেখ করেছেন তিনি ( উনার বয়স তখন ১৬) শরৎচন্দ্রের ''চরিত্রহীন'' উপন্যাস রবিদার ''নৌকাডুবি''-র মলাটের মধ্যে রেখে পড়েছেন।
আমারো সেইম অভিজ্ঞতা আছে। তবে সেটা তাসলিমা নাসরিনের ''ক'' বইটা পড়ার সময় (আমার বয়স তখন ১৭) । কোন বইয়ের মলাটেই এটা খাপ খায় না। শেষে ''সহিহ নামাজ শিক্ষা''-র মলাটবন্দী করে পড়েছি ;)
এখন শরৎবাবুর চরিত্রহীন উপন্যাসকে অশ্লীল উপন্যাস বলে মনে হয় বায়তুল মোকাররমের খতিবও দাবী করবে না। যুগে যুগে অশ্লীলতার সংজ্ঞা পাল্টায়।
এটার আগের এক্টা পার্ট আছে ''লা নুই বেঙ্গলী''; লিখেছেন লেখিকার প্রেমিক মির্চা ইলিয়াদ ; প্রেমিক-প্রেমিকা দুজনেই তাদের প্রেমের কাহিনী বই দুটিতে লিপিবদ্ধ করেছেন। এবং এদের যেকোন একজন মিথ্যা বলেছেন। বইদুটো পড়ে ধারনা করুন কে মিথ্যা বলেছেন।
''ন হন্যতে'' পিডিএফ কপি ডাউনলোড করা যাবে এই লিংক থেকে। অন্যটা র পিডিএফ আমার কাছে নেই। পেলে এই পোষ্টে পরে যোগ করে দিব।

২.
২০১৩: নতুন বছরের জন্য এবার কোন রেজোলিউশন নেই। কোনটাই শেষ করতে পারি না। শুধু একটাই আমার পড়ার টেবিলটা এবার পরিষ্কার করবই করব।
আজকে জাতীয় জন্মদিন দিবসে যাদের জন্মদিন তাদের সবাইকে শুভেচ্ছা। জানি এটা রিয়েল ডিওবি না। তারপরেও ''জর্মদিন'' তো !

0

টুকরোকথনঃ ০১

''MERRY KISSMYASS''

হাই স্কুলে ক্লাস সিক্সে গিয়ে যখন ভর্তি হই বছরের মাঝামঝি সময়ে স্কুলে এক নতুন স্যার আসলেন। তিনি আবার আমার মেজকাকার বন্ধু। উনি আবার উনার যত পরিচিত ছাত্র আছে তাদের বেধম মাইরপিঠ দিতেন যাকে বলে একেবারে হাড্ডি-পাস্থি এক করে মাইর। তো একদিন আমাদের টিফিন পিরিয়ডে আমরা সবাই ক্রিকেট খেলতেছি। স্যার মনে হয়ে আমাদের পাশ দিয়ে গেছেন। আমরা কেউই উনাকে নোটিশ করিনি। টিফিনের পরে ক্লাসে গিয়েই সেকি মাইর। আমারা কেন উনাকে সালাম দেই নাই। এরপর থেকেই আমি সালামের নতুন শব্দ আবিষ্কার করলাম ''স্লামুলাইকুম স্যার''এর জায়গায় ''চড়মারমু স্যার''; তবে এই ''চড়মারমু স্যার'' এটা খুব দ্রুত উচ্চারণ করতাম। যাতে স্যার বুঝতে না পারে। এর পরে আলহামদুলিল্লাহ সালাম আর মিস করি নাই। রাস্তায় স্যার আমাদের না দেখলেও দৌড়িয়ে সামনে গিয়া সালাম দিয়া আসতাম।

তো যে কারণে এতক্ষণ ত্যানা প্যাচাইলাম, লন্ডনে এই ক্রিসমাস টাইমে ''মেরী ক্রিসমাস'' কৈতে কৈতে মেজাজ বিলা হৈয়া যায়। এই মেরী ক্রিসমাস কে আমি বলি ''MERRY KISSMYASS''; এটাকেও খুব দ্রুততার সাথে উচ্চারণ করতে হয়। 
বিটিডব্লিউ  সবাইকে ''MERRY .........'' 
''২৫ ডিসেম্বর - পুত্র কর্তৃক মায়ের সতিচ্ছদ পর্দা ভেদ করার অভিনব ঘটনা উপলক্ষে উৎসব(সৌজন্যে ধর্মকারী)'' আনন্দে কাটুক ;)

1

টু হুম ইট মে কনসার্ন।

ক্লাস টেনে থাকতে এক বন্ধুর বড়ভাইয়ের কাছে একাউন্টিং প্রাইভেট পড়তাম। বন্ধু ছোটদা' ডাকত সো আমরাও ছোটদা' ডাকতাম। একাউন্টিং এ একটা চ্যাপ্টার ছিল ''পারিবারিক বাজেট''। কেউ এটা খুলেও দেখত না। আমি একটু বেশী পাকনামী করতে গিয়ে দাদাকে বললাম এই চ্যাপ্টার পড়ানোর জন্য। উনি 'জাবেদা' 'খতিয়ান' দেখিয়ে বাড়ির কাজ দিলেন যেকোন একটা কাল্পনিক বাজেট বানিয়ে আনতে হবে। আমি উনারই বিয়ের বাজেট করে দিলাম। তবে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে। মাত্র ২০,০০০ টাকায় বিয়ে কমপ্লিট। বাজেটে আয়ের উৎস দেখানো লাগে আমি দেখাইছিঃ মেয়ে বাসা থেকে পালানোর সময় মায়ের কিছু গয়না সাথে করে নিয়ে আসবে। ছেলের বন্ধু-বান্ধব কিছু সাহায্য করবে। আমাদের ট্রান্সপোর্ট বিজনেস। সো আমি দুইপক্ষের যাতায়াতের দায়িত্ব নিব। বিয়েতে গেস্ট যারা আসবে তারা সাথে করে খাবার নিয়ে আসবে। 

 সেই ছোটদা' গত কয়েকদিন আগে বিয়ে করেছেন। যে মেয়েকে কল্পনা করে বাজেট করেছিলাম সেই মেয়েকেই। আমাদের সাবার লিপিদি'। ছোটদা'কে ফোন দিলাম শুভকামনা (পড়ুন সমবেধনা) জানানোর জন্য। উনি আক্ষেপ করে বলতেছেন তোর বাজেট তো ফেইল মারছে। মিনিমাম ১৫গুন টাকা বেশী লাগছে বিয়ে করতে। আমি বললাম দাদা বিয়েতে যেহেতু টাকা বাঁচাইতে পারেন নাই বিয়ের পরে কিন্তু বাঁচাইতে পারতেন। ২৯ ফেব্রুয়ারী বিয়ে করলে বছর বছর এনিভার্সারীতে নতুন শাড়ি গয়না দেয়া লাগত না। ৪ বছর পর পর দিলেই চলত। দাদা বলল তুই এক কাজ কর ''বিবাহ ও বিবাহউত্তর কস্ট মিনিমাইজেশনের ১০১ তালিকা'' নামে একটা বই লিখে ফেল। আমি নিশ্চিত ৫-১০ বছর পরে এই বই সেচ্ছায় আত্মহত্যেৎসুক সকল তরুণ-তরুণীর অবশ্য পাঠ্য হিসেবে বিবেচিত হবে।

 বন্ধুরে ফোন দিলাম হে দেখি ফোন ধরেই বলে তোর বাজেট তো ফেইল মারছে। তবে আমার বাজেট ফেইল মারছে এজন্য আমার চেয়ে ওই বেশী দুঃখিত। কারন এর পরে সিরিয়ালে বেচারা নিজেই। বড়ভাইয়ের বিয়েতে বেশী খরচ হয়ে গেলে নিজের বিয়েতে কম পরে যাবে... এখানে উল্লেখ্য এই বিয়েটা সনাতন ধর্মের স্টুপিড বর্ণপ্রথাকে কাঁচকলা দেখিয়ে অনুষ্টিত হয়েছে। বিটিডাব্লিউ, হ্যাটস অফ ছোটদা'......


-----------------------------------------------------------------------------------------
-----------------------------------------------------------------------------------------
24

লন্ডনি সিলেটি বাঙ্গালীমুসলমানচরিত

হাত্মা আহমদ ছফা লিখেছিলেন বাঙ্গালী মুসলমানের মন। আমি লিখছি লন্ডনি সিলেটি বাঙ্গালীমুসলমানচরিত। আমার ২ বছরেরও বেশী প্রবাস জীবনে লন্ডনে বসবাসরত বাঙ্গালীদের (বেশিরভাগই সিলেটি) কিছু কান্ডকীর্তি দেখার সুযোগ হয়েছে। এই সিলেটিদেরকে বাংলাদেশের অন্য এলাকার লোকজন খুব একটা পছন্দ করে না। এরা সবার দৃষ্টিতে একইরকম তা আমি বলছি না। এখানে আমি আমার ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে এদের গতানুগতিক জীবন-চিত্রটা তুলে ধরার চেষ্টা করছি মাত্র।

এলো যখন সারাটি নাই গেল চলে জানাল তাই

free counters

তোমার বাস কোথা হে পাঠক?

Visitor Map