যে আমি এলাকায় অলস কমিটির সভাপতি বলে পরিচিত সেই আমি UK তে কাজ করে আমার পড়াশুনা চালিয়ে যেতে হবে। তা কি করে সম্ভব। আমি এত বিশ্রী পরিমাণ অলস ছিলাম যে গ্লাসে পানিটা পর্যন্ত ঢেলে খেতাম না। ভাত খেয়ে প্লেট ধূয়া তো দূরের কথা। আমাকে অলস কমিটির সভাপতি পদটা দিয়েছেন রুবেল ভাই। যিনি একটা কলেজের লেকচারার। তিনি একদিন বাসায় এসে দেখেন আমি বিছানায় বসে চুলে শ্যম্পু করছি। আর আমার ছোট বোন দাতের ব্রাশ নিয়ে দারিয়ে আছে। এ দেখে তিনি বলেন যে ছেলে বিছানায় বসে শ্যম্পু করতে পারে সেই এই কমিটির সভাপতির যোগ্য।
এগুলা নিয়ে আমি খুব গর্ব করতাম। কিন্তু এখন বুঝি এনিয়ে গর্ব করার কিছু নাই। বরং নিজের কাজ নিজে করা, নিজের খরচ নিজে চালানোর মাঝে যে আনন্দ সেটা আসলে ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।
এখানে সবাই পড়াশুনার পাশাপাশি কিছু না কিছু উপার্জনও করে।বাংলাদেশে ছাত্রদের কাজ এখনো টিউশনির মধ্যে সীমাবদ্ধ। যাদের বাবা মা আর্থিক ভাবে সচ্চল তারা এটাও করে না। অথচ নিজের উপার্জনের মজাই আলাদা। বাপের হোটেলে খাওয়া খুব আরমের। কিন্তু বাপের টাকা দিয়ে গার্লফ্রেন্ডকে গিফট দেয়াটা চরম লজ্জাজনক ।
1 মন্তব্য:
"বাপের টাকা দিয়ে গার্লফ্রেন্ডকে গিফট দেয়াটা চরম লজ্জাজনক।"
ঠিক...ঠিক...ঠিক! :)
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মন্তব্য পেলে খুশি হবো। সেটা যতই তিক্ত হোক না কেনো। আপনার সদয়/অসদয় মতামতের জন্য ধন্যবাদ জানবেন।